এই পদ্ধতি এফেক্টিভ কি না?
এই পদ্ধতিতেই আমি নিজে শিখেছি এবং আমার আরবি ক্লাসে পার্টিসিপ্যান্টরা ঠিক এভাবেই শিখছে। তাই আমার কাছে এই মেথডটাই সবচেয়ে এফেক্টিভ মনে হয়। এখানে কয়েকটা ব্যাপার ঘটে।
এক — আপনি যেহেতু অনেক টেক্সট পড়েন ও অর্থ বের করেন, এতে আপনি আরবি গ্র্যামারের বিভিন্ন রুলস নিজে নিজেই বের করে ফেলবেন। ফলে আপনার গ্র্যামার রিটেনশন অনেক বেটার হয়। গুস্তাভ ল্যাঞ্জেনশেইট ও চার্লস টুস্যান্ট, এই দুইজন ভাষা শিক্ষক ঊনিশ শতকের শেষের দিকে একটা জার্মান স্লোগানকে জনপ্রিয় করে তোলে — Man lernt Grammatik aus der Sprache, nicht Sprache aus der Grammatik. এর অর্থ হলো — One learns grammar from language, not language from grammar. আপনি এই মেথড ফলো করলে, আপনার আলাদা করে গ্র্যামার শিখতে হবে না। ভাষা শিখতে শিখতেই আপনি বাই ডিফল্ট গ্র্যামারও শিখে ফেলবেন।
দুই — এই পদ্ধতিতে আপনি আরবি ভাষা কিভাবে কাজ করে বা এর ডাইনামিক্স কী তা ধরতে পারবেন। বিগিনার, ইন্টারমিডিয়েট ও অ্যাডভান্সড, এই তিনটা সেগমেন্টে ভাগ করে বিভিন্ন কোর্স বা কারিকুলাম ডিজাইন করা হয়। কিন্তু এই সিস্টেমটা মোটেও কার্যকর কিছু না। কারণ রিয়েল লাইফে আপনি যখন কুরআন বা হাদীসের সম্মুখীন হবেন, তখন কিন্তু আরবি এ রকম ভাগ হয়ে আসবে না। বিগিনার, ইন্টারমিডিয়েট ও অ্যাডভান্সড সবকিছু মিলে আপনার সামনে বিভিন্ন টেক্সট আসবে। তখন আরবির বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সেনটেন্সের কানেক্টিভিটি বুঝা আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, যা কারিকুলাম সিস্টেমে অ্যাকোমোডেট করা হয় না। নাসিম তালেবের ভাষায় —
I don’t know anyone who ever learned to speak his mother tongue in a textbook, starting with grammar and, checked by biquarterly exams, systematically fitting words to the acquired rules. You pick up a language best thanks to situational difficulty.
তাই রিয়েল লাইফে আরবি ভাষা যেভাবে কাজ করে, শুরু থেকেই ঠিক সেভাবেই আপনার আরবি শেখা উচিত।
তিন — আপনার লাইফ যদি একইভাবে চলতে থাকে, নিশ্চিত থাকেন আপনি বোরড হয়ে যাবেন। এটাকে বলে সাইকোলজিক্যাল রাট (Psychological rut)। এই রাট থেকে বের হওয়ার জন্য লাইফে চরাই-উতরাইয়ের প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি কারিকুলামের মাধ্যমে ভাষা শিখলে আপনার একঘেয়েমি লাগবে। এখানে চরাই-উতরাই নাই বা ভ্যারিয়েশ্যান নাই। একই তালে বিভিন্ন লেসন প্ল্যান চলতে থাকে। তাই সিওর থাকেন, খুব শীঘ্রই আপনি সাইকোলজিক্যাল এই রাটে পড়তে যাচ্ছেন। কিন্তু আপনি যদি ভ্যারিয়েশ্যান আনেন বা বিভিন্ন সোর্স থেকে পড়েন—কিছু সময় কুরআন পড়লেন, কিছু সময় হাদীস পড়লেন বা সীরাহ পড়লেন বা অন্য কোনো টেক্সট পড়লেন—তাহলে এই রাট থেকে অনেকখানিই বের হতে পারবেন। আর আপনি যে সব আরবি টেক্সট পড়বেন তা একেবারেই রিয়েল, কারিকুলামের মতো ডিজাইন্ড বা ফেইক কিছু না।
এই ভ্যারিয়েশ্যানের আরেকটা পজিটিভ দিক হলো — এতে আপনার ভাষা শেখা আরো বেটার ও ডিপার হয়। সাইকোলজিস্ট রবার্ট বিজর্ক ও এলিজাবেথ বিজর্কের মতে, ভ্যারিয়েশ্যান ডিপ লার্নিংয়ের জন্য অনেক অনেক এফেক্টিভ। তাদের গবেষণা বলে — আপনি একই টেক্সট বারবার পড়ার থেকে যদি বিভিন্ন টেক্সট পড়েন তা শেখার জন্য অনেক বেশি কার্যকর। অর্থাৎ, For deep learning, variation is way better than repetition. তাই কাতো লম্বেরও একই সাজেশ্যান —
A foreign language is a castle. It is advisable to besiege it from all directions: newspapers, radio, motion pictures which are not dubbed, technical or scientific papers, textbooks, and the visitor at your neighbor’s.
এখন আপনার মনে আবার প্রশ্ন আসতে পারে — মেথডটা আমার জন্য কঠিন হবে কি না?