কোনোকিছু শেখার ক্লিয়ার-কাট কোনো শুরু থাকে না, না থাকে এর কোনো শেষ। বাস্তব জীবনে আপনি যা কিছু পারেন, একবার চিন্তা করেন, এর কোনোকিছুরই কি আপনি বলতে পারবেন যে, অমুক দিন আমার শেখা শুরু হয়েছে ও অমুক দিন তা শেষ হয়েছে? না, পারবেন না।
মনে করেন, আপনি পাইথন কোডিংয়ে একজন এক্সপার্ট। দশ বছর কাজ করার পর এই এক্সপার্টিজ আপনার ডেভেলপ হয়। তো আপনি বলতে পারেন, ২০১১ সালের ৯ই আগস্ট আমি পাইথনের উপর একটা কোর্স করি। সুতরাং সেটাই আমার শুরু।
না, সেটাই আপনার শুরু না। আপনি পাইথনের নাম শুনলেন, আর সাথে সাথে কোর্স করা শুরু করে দিলেন? না এভাবে চিন্তা করার কোনো সুযোগ নাই। পাইথনের নাম আপনি আগেই শুনেছেন। এ নিয়ে চিন্তা করেছেন। কিছুটা পড়াশোনা করেছেন। হয়তোবা দুয়েকবার নিজে নিজে ট্রাইও করেছেন। ফ্রেন্ডদের সাথে আলোচনা করেছেন। পাইথন শিখে কী করবেন বা কোথায় কাজ করবেন তা নিয়ে বিস্তর গবেষণাও করে ফেলেছেন। এ সবই আপনার পাইথন শেখার অংশ।
তো, আপনি এখন বলতে পারবেন স্পেসিফিকলি কবে পাইথন শেখা শুরু করেছেন? না পারবেন না। আবার কবে আপনার পাইথন শেখা শেষ হবে বা পাইথনের সবকিছু শিখে ফেলবেন, তা-ও বলতে পারবেন না। পাইথন প্রতিনিয়ত আপডেটেড হচ্ছে। নতুন নতুন জিনিস ঢুকছে। একটা বিশাল জনগোষ্ঠী এই কাজে নিয়োজিত। তাদের প্রতি মূহুর্তের ইনোভেশন আপনি পাল্লা দিয়ে শিখতে পারবেন না। তাই আপনার শেখারও কোনো শেষ দিন থাকবে না।
মোদ্দা কথা, শেখার বা লার্নিংয়ের কোনো স্পেসিফিক শুরু নাই বা শেষ নাই। কারণ পুরা প্রসেসটাই খুবই মেসি বা এলোমেলো। সুতরাং লার্নিংকে কখনোই কোনো স্ট্রাকচারের মধ্যে ফেলবেন না। যেই মূহুর্তে লার্নিংকে কোনো প্রক্রিয়া বা ছকবন্দী করবেন, আপনি লার্নিং ফরমালিটির মধ্যে ঢুকে যাবেন কিন্তু প্রকৃত লার্নিং থেকে বের হয়ে যাবেন।