একটা জিনিস কি আপনারা ভাবতে পারেন? স্কুল থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত আমরা রাফলি ১৭ বছর ইংরেজি ভাষা নিয়ে ঘাটাঘাটি করি, কিন্তু তারপরও আমাদের ইংরেজির এ বেহাল দশা কেন? কথা বলতে গেলে চেহারা বাঁকা হয়ে যায়, লিখতে গেলে যা বোঝাতে চাই তা ঠিকমতো বোঝাতে পারি না। সেদিন এক বড় ভাই আমাকে বলেন-
নাহিদ, আমাদের ইংরেজির অবস্থা এতোই খারাপ যে আমি বলেও আমার ক্লায়েন্টদের মেইল লেখাইতে পারি না। যে কয়েকটা মেইল তারা করছে তা দেখেই বুঝছি কেন করতে চায় না। স্পেলিং মিসটেকস আসলে সে রকম সমস্যা না, বড় সমস্যা হলো সেনটেন্স কনস্ট্রাকশন। বোঝাই যায় না কী লিখছে।
এ প্রশ্নটা যদি আবার করি, কেন এ অবস্থা? সমস্যাটা কোথায়? এক কথায় যদি বলি — সমস্যাটা হলো আমরা ইংরেজি ভাষাকে শিখি, কিন্তু অ্যাকোয়ার বা অধিগ্রহণ করি না। এটাই বড় সমস্যা। এর মানে কী?
ধরেন, আপনি ফুটবল খেলার সব নিয়মকানুন শিখে বসে আছেন, কিন্তু মাঠে যেয়ে এখনও খেলেননি, তাহলে কি আপনি ফুটবল খেলোয়ার হতে পারবেন? না, কোনোভাবেই সম্ভব না। ফুটবল খেলোয়ার হওয়ার জন্য কী দরকার? নিয়মকানুন শেখার আগেই আপনি মাঠে যাবেন, খেলা শুরু করে দিবেন, খেলাটাকে আপন করে নিবেন, চিন্তাচেতনায় ফুটবলকে ধারন করবেন, মোট কথা ফুটবল খেলাকে নিজের করে নিবেন। রুলস আপনি খেলতে খেলতেই শিখে যাবেন। এই প্রসেসটাকেই বলে অ্যাকুইজিশন বা অধিগ্রহণ।
ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটাই ঘটে। রুলস সব শিখে বসে আছি, কিন্তু ভাষার কোনো ওনারশিপ নেই।
১৭ বছর ধরে আমরা কী করি? আমরা গ্র্যামার শিখি, লেটার, প্যারাগ্র্যাফ, রচনা মুখস্থ করি এবং তারপরে খাতায় লিখি। ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজিতে প্রশ্ন মুখস্থ করি এবং পরীক্ষায় লিখে দিয়ে আসি। কিন্তু কখনোই আমরা রিয়েল-টাইম ইংলিশ কনভারসেশনে যাই না বা আমাদেরকে যেতে বাধ্য করা হয় না। আমি গ্র্যাজুয়েশন পর্যন্ত কোনোদিন কোথাও ইংরেজি বলিনি। প্রথম ইংরেজি বলি এমবিএ ভাইভা দেওয়ার সময়। আবার এই পুরো সময় আমরা নিজেদেরকে কোনো সৃজনশীল লেখায়ও যুক্ত করি না বা করতে হয় না।
আজকেই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একজনের সাথে কথা হয়। ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র, স্বভাবতই ইংরেজিতে বেশ পটু। স্কুলে তারা লিটারেচার পড়তো এবং বিভিন্ন ফিকশানাল রাইটিংসকে রিভিউ করতো। আমরা কি এ ধরনের কাজ কখনো করি? জ্ঞান শুধু নিলেই হয় না, জ্ঞান নেওয়ার সাথে সাথে সেটাকে প্রসেসও করতে হয়। আমাদের ইংরেজি শেখার পুরো প্রক্রিয়ায় এই বিষয়টা চরমভাবে অনুপস্থিত।
মোট কথা, আমাদের ইংরেজি শেখা হলো ব্যাকরণ ভিত্তিক ও মুখস্থ নির্ভর। আমরা অনেক রুলস শিখি কিন্তু প্রয়োগ করি না বা করতে পারি না। এর কারণ, আমরা ইংরেজি ভাষাকে কখনোই নিজের করে নিতে পারিনি।
- এখন প্রশ্ন হলো — কীভাবে আপনি ইংরেজিকে নিজের করে নেবেন বা অধিগ্রহণ করবেন?খুব সিম্পল। নিচের যে কোনো একটা কাজ করেন অথবা দুইটাই কএই মূহুর্তে ইংরেজি ব্যবহার করা শুরু করে দেন। ভুল-ভাল যা পারেন তা-ই দিয়ে শুরু করেন। ভুল হচ্ছে কি সঠিক হচ্ছে তা নিয়ে মোটেও চিন্তা করবেন না। র্যান্ডম্লি একটা বই নেন, পড়া শুরু করে দেন। না বুঝলেও পড়তে থাকেন, লেগে থাকেন। ছাড়বেন না।
- সমসাময়িক কোনো একটা টপিক সেলেক্ট করেন এবং সেটার উপর লেখেন। মাথায় যা আসে তা-ই লেখেন। লেখা কেমন হচ্ছে তা বিচার করতে যাবেন না। কারও ফিডব্যাক নেওয়ারও দরকার নাই। খালি লিখতে থাঠিক এভাবে, বেশি না, আপনি দুই মাস চালিয়ে যান, নিশ্চিত থাকেন আপনি ইংরেজি ভাষার একটা ভিন্ন স্বাধ পাবেন এবং ভাষাকেও আপন করে নেবেন।
কেন এই দুইটা বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছি? কারণ নিজেই এর সুবিধা পাই আরবি শেখার ক্ষেত্রে৷ আমার আরবি ভাষা শেখার ব্যাচেও ঠিক এই পদ্ধতিই ফলো করি। যখন দেখি পার্টিসিপ্যান্টরাও এর বেনিফিট নেয়, তখন সত্যিই এই সিস্টেমের উপর আমার বিশ্বাসটা আরও পাকাপোক্ত হয়।
তো আপনি শুরু করে দেন। সময়ের সাথে সাথে ইংরেজি ভাষাকে আপনি অবশ্যই আয়ত্ব করে ফেলবেন। তারপরও যদি মনে করেন আপনার একার পক্ষে এভাবে চালিয়ে যাওয়া কঠিন, তাহলে খুব শীঘ্রই শুরু হতে যাওয়া আমাদের ইংরেজি ভাষা শেখার কোর্সে যোগ দিতে পারেন। কীভাবে চলবে কোর্সটা?
মোটামুটি একই পদ্ধতিই ফলো করি। ধরেন, পড়ার জন্য আমরা একটা বই সেলেক্ট করলাম Beginners: The Joy and Transformative Power of Lifelong Learning. লেখক টম ভান্ডারবিল্ট।
বই থেকে একটা র্যান্ডম প্যাসেজ তুলে ধরলাম — ‘Beginners’ is a book for anyone who ever started out, who was unsure, who was afraid to ask a question in a roomful of people who all seemed as if they knew what they were doing. It’s for anyone who had to be shown the ropes, however many times, who didn’t know what they were doing but did it anyway. It’s for anyone who entered a race they weren’t even sure they could finish. It’s a catalog of errors, a celebration of awkwardness. To paraphrase the movie Repo Man, it’s about spending your life not avoiding tense situations but getting into tense situations.
স্টুডেন্টরা এই রকম অনেক প্যাসেজ পড়বে এবং অর্থ বের করবে। এর মাধ্যমে তারা কী শিখবে? তারা শিখবে — ইংরেজি উচ্চারণ, নতুন নতুন শব্দ, অ্যাপ্লাইড গ্র্যামার ও বইয়ের কনটেন্ট।
সাথে তাদেরকে সমসাময়িক কোনো টপিক দেওয়া হবে বিস্তারিত লেখার জন্য। ধরেন, একটা টপিক দেওয়া হলো ‘How badly did the pandemic hit our economy’ এবং বলা হলো এর উপর ১০০০ শব্দের একটা প্রবন্ধ লেখেন। এখানে তারা শিখবে — কমিউনিকেটিভ ইংলিশ, শুদ্ধতর লেখা, ভাষার প্রয়োগ ও ক্রিটিকাল থিংকিং।
আর একটা বিষয় থাকবে Extempore Speaking. স্টুডেন্টরা র্যান্ডম কোনো টপিক পাবে এবং কোনো রকম পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া সেটাকে প্রেজেন্ট করবে। মনে করেন, একজন স্টুডেন্টকে এই টপিকটা—Is social media good or bad— দিয়ে বলা হলো তিন মিনিট এর উপর ইংরেজিতে বলেন। এক্সটেম্পরি স্পিকিং তাদের ইংলিশ ফ্লুয়েন্সিকে অনেকখানি ধারালো করবে এবং অন দ্য স্পট কীভাবে একটা স্পিচকে তৈরি করতে হয় সেটাতে অভ্যস্ত হবে।
Informative post