দেখেন কিছুটা ফ্লুয়েন্সি অলরেডি আমাদের মধ্যে আছে। কিন্তু সমস্যা হলো বলতে গেলে বের হয় না। কেন?
স্পোর্টস সাইকোলজিস্ট গ্যাব্রিয়েল উল্ফের রিসার্চ — আমরা যে কোনো কাজের লেজেগোবরে অবস্থা করে ফেলি যখন কাজটা করতে যেয়ে বাহ্যিক বিষয়াদির উপর ফোকাস না করে আমরা যদি নিজেদের উপর বেশি বেশি ফোকাস করি।
ধরেন বসের সামনে একটা গুরুত্বপূর্ণ সেলস প্রেজেন্টেশন দিচ্ছেন। এখানে আপনার ফোকাস কী? অডিয়েন্স। আপনি যা প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন তা দিয়েই তাদেরকে কানেক্ট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু যদি নিজের দিকে ফোকাস করেন—কেমন করছি, ঠিকভাবে দিতে পারছি তো, অডিয়েন্স কি ঠিকভাবে নিচ্ছে আমাকে, না নিলে আমার কী হবে—এইসব চিন্তা করবেন তো, আপনার প্রেজেন্টেশন শেষ
এ সমস্যাকে বলা হয় মাইক্রো-চোকিং। এই মাইক্রো-চোকিং আপনাকে চরমভাবে ভোগাবে যদি বেশি বেশি নিজের দিকে ফোকাস করেন। উল্ফের এজুকেটেড সাজেশন, ফোকাস করবেন এক্সটার্নাল টার্গেটের উপর।
সুতরাং প্রেজেন্টেশনে ভালো করতে চান? অডিয়েন্সকে ফোকাস করেন, নিজেকে না।
ক্রিকেট ব্যাটিংয়ে ভালো করতে চান? মাঠের দিকে ফোকাস করেন। বোলারের দিকে ফোকাস করেন। কিন্তু নিজে ব্যাট কীভাবে ধরছেন বা চালাচ্ছেন বা পা কতটুকু নড়ছে সেদিকে ভুলেও ফোকাস করবেন না।
ব্যাক টু আওয়ার অরিজিনাল কোসশেন!!
কেন আমাদের মধ্যে যতটুকু ফ্লুয়েন্সি আছে তা বের হয়ে আসে না?
সুতরাং প্রেজেন্টেশনে ভালো করতে চান? অডিয়েন্সকে ফোকাস করেন, নিজেকে না।
ক্রিকেট ব্যাটিংয়ে ভালো করতে চান? মাঠের দিকে ফোকাস করেন। বোলারের দিকে ফোকাস করেন। কিন্তু নিজে ব্যাট কীভাবে ধরছেন বা চালাচ্ছেন বা পা কতটুকু নড়ছে সেদিকে ভুলেও ফোকাস করবেন না।
ব্যাক টু আওয়ার অরিজিনাল কোসশেন!!
কেন আমাদের মধ্যে যতটুকু ফ্লুয়েন্সি আছে তা বের হয়ে আসে না?
কারণ ঐ মাইক্রো-চোকিং।
ইংরেজি বলতে গেলে আমরা অতিরিক্ত কনশাস হয়ে যাই—ঠিক বলছি তো, কী সব ভুলভাল বলছি, পাশের লোকটা কী মনে করছে—এইসব চিন্তা থেকেই আমাদের ফ্লুয়েন্সি ব্যাহত হয়।
এই মাইক্রো-চোকিং থেকে বের হওয়ার উপায় কী?
বেশি বেশি নিজেকে রিয়েল-লাইফ সিচুয়েশনে ফেলেন, যেখানে আপনাকে ইংরেজি বলতেই হবে, কোনো উপায় নাই। যত বেশি রিয়েল-লাইফ সিচুয়েশন ফেইস করবেন, তত বেশি এই মাইক্রো-চোকিং থেকে উতরে যাবেন। আর দেখবেন, আস্তে আস্তে আপনার ফ্লুয়েন্সিও বাড়ছে।