ইংলিশ নিয়ে আমাদের কমপ্লেইনের কোনো শেষ নাই — আমি ইংলিশে মোটেও ফ্লুয়েন্ট না, ইংলিশ লিখতে গেলে প্রচুর বানান ভুল হয়, ভোক্যাবুলারি স্টক নাই বললেই চলে, স্কুল-কলেজে আমাদের ঠিকভাবে শেখানো হয় নাই, এত টাকা খরচ করে অমুক ইনস্টিটিউশন বা অমুক ইনস্ট্রাক্টরের কাছে গেলাম কিন্তু পুরা টাকাটাই শেষ, কিছুই শিখতে পারলাম না, ও আরও কত কী।
সুতরাং আমাদের সমস্যার কোনোই অভাব নাই। কিন্তু যে ব্যাপারটার চরম অভাব তা হলো নিজস্ব জায়গা থেকে আমাদের চেষ্টা করে যাওয়া। আমরা নিজেদের এই অভাবকে কোনোভাবে অন্য দিকে চ্যানেলাইজ করে কিছুটা হলেও শান্তি নেওয়ার চেষ্টা করি। বাট দ্য ফ্যাক্ট রিমেইনস উই স্টে সাবস্ট্যান্ডার্ড ইন ইংলিশ।
তাই আমরা যদি ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজে দূর্বল হয়ে থাকি, তার অনেকখানি দায় আমাদের নিজেদেরই নিতে হবে।
প্রশ্ন হলো- নিজস্ব জায়গা থেকে আমরা কী করতে পারি?
ছোট ছোট তিনটা কাজের কথা বলতে পারি যা সহজেই অ্যাপ্লাই করা যায়।
- Spencer Johnson এর লেখা Who Moved My Cheese? বইটা সংগ্রহ করেন। ছোট একটা বই। পড়া শুরু করে দেন। আমাদের একটা টেনডেন্সি হলো প্রত্যেকটা ওয়ার্ড বা সেনটেন্স বুঝতে হবে। না সব বুঝার দরকার নাই। ডোন্ট ওভারডু ইন রিডিং। খালি পড়ে যান। যতটুকুই বোঝেন পড়তে থাকেন। এভাবে করে একবার শেষ করেন। এরপর আবার পড়েন। নিশ্চিত থাকেন, এবার আপনি আগেরবারের থেকে একটু হলেও বেশি বুঝবেন। বইটা মোট তিন বার পড়ে শেষ করেন। শেষ করার পর ভালো লাগে এ রকম আরেকটা বইয়ে শিফ্ট করেন।
- আপনি যে সব সমস্যা ফেইস করছেন তা নিয়ে ইংলিশে লেখেন এবং তার সম্ভাব্য সমাধান বের করেন। মনে করেন, এই মূহুর্তে আপনি চাকরির ক্ষেত্রে কোনো একটা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং এর সমাধান খুঁজছেন। জাস্ট ঠান্ডা মাথায় এ নিয়ে ফ্রীহ্যান্ড লেখেন। ভুলভাল যা হোক লিখতে থাকেন।
- সেল্ফ-টক করেন। অর্থাৎ নিজের সাথে ইংলিশে কথা বলেন। আমরা প্রতিদিন প্রচুর নিজেদের সাথে কথা বলি এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা বাংলায় বলি। এখন থেকে ইংলিশে বলেন। একটু হলেও আপনার ফ্লুয়েন্সি আগের থেকে বেটার হবে।
এ রকম ছোট ছোট স্টেপ নেন। বড় বড় বা জটিল কোনো প্রসেসে ঢুকবেন না। রিয়েল লাইফে ছোট ছোট স্টেপ দিয়েই অনেক কিছু অর্জন করা যায়। তবে যে জিনিসটা বেশি দরকার তা হলো আপনার লেগে থাকা।