ভাষা শেখার জন্য ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্ট্রাক্টরের চেয়ে পলিগ্লটদের প্রসেস অনেক বেশি ইফেক্টিভ।
পলিগ্লটরা নিজেরা একটার পর একটা ভাষা শিখতে থাকে, আর ইনস্ট্রাক্টররা অন্যদের ভাষা শিখায় কিন্তু তারা নিজেরা ভিন্ন ভিন্ন ভাষা শেখে না।
পলিগ্লটরা শেখার জন্য খুবই ন্যাচারাল প্রসেস ফলো করে যা অনেকটা বাচ্চারা যেভাবে শেখে তার মতো। কিন্তু ইনস্ট্রাক্টরদের মেথড অনেক বেশি ভারী, অনেক বেশি স্ট্রাকচার্ড। দৈনন্দিন জীবনে আমরা ভাষা যেভাবে ব্যবহার করি তার সাথে এর কোনো মিল নাই।
বাচ্চাদের কথা ধরেন। তারা কি গ্র্যামারের কোনো তোয়াক্কা করে? মোটেও না। তারা শুনতে শুনতে আর খেয়াল করতে করতেই কথা বলা শুরু দেয়।
নাসিম নিকোলাস তালেব একজন পলিগ্লট। সে দশটা ভাষা পারে। তার মেথড-
Read, read, read, but don’t read grammar.
পড়ো, পড়ো, পড়ো, কিন্তু গ্র্যামার পোড়ো না।
টিম ডোনার, আরেকজন পলিগ্লট, যে মুভির মাধ্যমে শেখে। সাবটাইটেল অন করে শুনতে থাকে আর লিখতে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্যাটার্ন ধরে ফেলে।
বাচ্চাদের ও পলিগ্লটদের এই যে ভাষা শেখার প্রসেস, একে বলা স্ট্যাটিস্টিক্যাল লার্নিং। আমরা মানবজাতি এই স্ট্যাটিস্টিক্যাল লার্নিংয়ে বেশ কামফোর্টেবল। শুধু ভাষা না, রিয়েল লাইফে আমরা যা কিছু শিখি তা শুধুমাত্র এই পদ্ধতিতেই।